প্রতিবাদ করায় সোহাগের প্রাণ কেড়ে নিল সন্ত্রাসীরা। - দর্পণ বাংলা

শিরোনাম

Sunday, April 16, 2023

প্রতিবাদ করায় সোহাগের প্রাণ কেড়ে নিল সন্ত্রাসীরা।

লতিফুর রহমানঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের তাঁতুয়াকান্দি গ্রামে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে রক্তাক্ত আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়লো একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার দৌহিত্র,সোনারগাঁও সরকারি কলেজের এইচ এসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সোহাগ (২০)। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুমূর্ষু সোহাগ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। নিহত সোহাগ সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের তাঁতুয়াকান্দি গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয়রা জানায়, গত ৮ মার্চ বুধবার পবিত্র শব-ই-বরাতের রাতে আঁতশবাজি ও পটকা ফুঁটানোতে বাঁধা দেওয়ায় তাঁতুয়াকান্দি গ্রামের মৃত আলম চাঁনের ছেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী মেহেদী ও তার সহযোগীদের সাথে নিহত সোহাগের বাক বিতন্ডা হয়। এরই রেশ ধরে মেহেদী ও একই এলাকার মৃত আব্দুর রউফ এর ছেলে মেহেদীর সহযোগী সালাউদ্দিন, খোকা মিয়ার ছেলে হাসান, আমানউল্লাহর ছেলে পাভেল, মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে শহিদুল্লাহ ও মোবারক, মহব্বত আলীর ছেলে আলম চাঁন, জহিরুলের ছেলে আনিস, মৃত নুর মোহাম্মদ ওরফে নুরা চোরার ছেলে রফিকসহ ১২/১৫ জন মিলে সোহাগকে রড, হকিস্টিক ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। এসময় সোহাগের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসী মেহেদী ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সোহাগকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সোহাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠায়। পরবর্তিতে চিকিৎসকদের পরামর্শে নিহত সোহাগকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা চলছিল। বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন পুণরায় গত ১৪ এপ্রিল শুক্রবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) আহসান উল্লাহ জানান, নিহত সোহাগের দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে শনিবার ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

No comments:

Post a Comment