সোমবার সতেরো অক্টোবর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন নং ওয়ার্ডে (সোনারগাঁও উপজেলা) তিরাশি ভোট পেয়ে বিজয়ি হয়েছেন তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মোঃ আবু নাঈম ইকবাল, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী হাতি মার্কা’র মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম পেয়েছেন উনপঞ্চাশ ভোট।
দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন না হলেও আওয়ামিলীগের দূর্গে জাতীয় পার্টির দিন দিন প্রভাব বিস্তারের বিবেচনায় এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচন পায় ভিন্ন মাত্রা। বিজয়ি আবু নাঈম ইকবাল জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং নাঃগঞ্জ তিন সোনারগাঁ সংসদীয় আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার আস্থাভাজন। অপরদিকে পরাজিত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম ছিলেন উপজেলা আওয়ামিলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং আওয়ামিলীগ রাজনৈতিক দলের সক্রিয় নেতৃস্থানীয় একজন সংগঠক ও সাবেক আওয়ামিলীগ সাংসদ কায়সার হাসনাতের অতি আস্থাভাজন । তাই জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর পাশে দাঁড়ান বর্তমান ও সাবেক দুই সাংসদ।দুই প্রার্থীর পক্ষে বর্তমান ও সাবেক দুই সাংসদের সমর্থনে আলোচনায় চলে আসে মর্জাদার লড়াই। যার এক পাশে অবস্থান নেয় উপজেলা জাতীয় পার্টি আর অপর পাশে উপজেলা আওয়ামিলীগ। সরকার দলীয় রাজনৈতিক দল আওয়ামিলীগের প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকার পরও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের পরাজয়ে তৃণমূল সাধারণ কর্মীরা মনে করেন স্থানীয় আওয়ামিলীগের নেতৃত্বের কোন্দলে আওয়ামিলীগের দূর্গ দাবি করা সোনারগাঁ উপজেলার মাটিতে জাতীয় পার্টির সমর্থনপুষ্ট আবু নাঈম ইকবালের বিজয় যেন মাসুমের পরাজয় নয় দলীয় অনৈক্যের গালে চপেটাঘাত।অনেকে মনে করেন সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামিলীগের কর্মী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ স্থানীয় কোন্দলের সুরাহা না করে, ওল্টো বক্তব্য দিয়ে স্থানীয় জাতীয় পার্টিকেই যেন চাঙা করেছেন।উল্লেখ্য উপজেলার একটি ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির সমর্থনপুষ্ট চেয়ারম্যান , বাকী সকল ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামিলীগ দলীয় বা, সমর্থনপুষ্ট চেয়ারম্যান। আর ইউপি সদস্যের সিংহভাগই আওয়ামি পন্থি।আর এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল একশ বত্রিশ।
No comments:
Post a Comment