গত ৫মে রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে ভ্রমনের দায়ে জরিমানার ঘটনা ঘটে। পরে বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের নির্দেশে টিটিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া টিটিই মো. শফিকুল ইসলাম রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদীর টিটিই হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী তিন ট্রেনযাত্রীকে জরিমানা করায় ওই ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষককে (টিটিই) সাময়িক বরখাস্ত করার খবরে সরগরম স্যোশাল মিডিয়া।
শনিবার (৬মে) রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, টিকিট ছাড়া ভ্রমণ করা যাত্রীরা তার আত্মীয় নন। তিনি বলেন, ওদের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। নাম ভাঙিয়ে কেউ হয়তো সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নাই।
ওই ট্রেনে বিনা টিকেটে ভ্রমণকারী তিন ব্যক্তি হলেন―ইমরুল কায়েস প্রান্ত, হোসেন ও ওমর। হোসেন ও ওমর সম্পর্কে ইমরুলের মামা। তাদের মধ্যে টিটিইর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ইমরুল। তিনি রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী শাম্মী আক্তারের বোন নিপার ছেলে। আর হোসেন ও ওমর রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মীর আপন মামাতো ভাই। ইমরুলের বাড়িতে ঈদ করতে আসেন তারা। রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী ইমরুলকে সন্তানের মতো দেখেন।
ভুক্তভোগি হোসেন বলেন, ‘আমরা ঢাকায় যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট নিতে বুকিং অফিসে যাই। সেখানে টিকিট না পেয়ে বিষয়টি আপুকে (শাম্মী) জানাই। আমাদের জন্য সুন্দরবন এক্সপ্রেসের তিনটি টিকিট দিতে আপু দায়িত্বরত গার্ড শরিফুল ইসলামকে মুঠোফোনে বলেন। এরপর আমরা ট্রেনের একটি বগিতে উঠি। কিছুক্ষণ পরই শফিকুল ইসলাম এসে আমাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। ট্রেন থেকে লাথি দিয়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন।
No comments:
Post a Comment