লতিফুর রহমান দীপুঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী হালিম ও বিল্লালের নেতৃত্বে জসীম বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা খোরশেদ বাবুল (৪২) নামের এক চাকরিজীবী।
সন্ত্রাসী জসিম বাহিনীর ধারালো অস্ত্রের হামলায় মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম হয়ে বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন হামলার স্বীকার খোরশেদ বাবুল।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত আশংকাজনক খোরশেদ বাবুল উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ইলিয়াসদী গ্রামের মো. রশিদের ছেলে। তিনি ঢাকার সাভারে অবস্থিত এবিসি রেডিমিক্স কোম্পানীতে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
আহত খোরশেদ বাবুলের স্ত্রী মোসাঃ সুলতানা আক্তার জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঈদের দিন বিকেলে সনমান্দি ইউনিয়নের জাইদেরগাঁও গ্রামের জসিমের ছেলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হালিম ও বিল্লালের, নেতৃত্বে শেখ ফরিদ, জসিম, মোজাফ্ফর, আমির হোসেন, হৃদয় ও ফয়সালসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনে মিলে ধারালো রামদা ও চাপাতি দিয়ে খোরশেদ বাবুলের উপর হামলা চালায়। এ সময় তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারী কুপিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় খোরশেদ বাবুলের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় বাবুলের স্ত্রী সুলতানা আক্তার বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় উল্লেখিত সন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাবুলের স্ত্রী মোসাঃ সুলতানা আক্তার আরো জানান, সন্ত্রাসী হালিম ও বিল্লাল বাহিনী এলাকায় প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমিসহ আমার আত্মীয়-স্বজন এলাকা ছাড়া রয়েছি। উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক চাঁদাবাজী, মারামারির মামলা রয়েছে। তাদের আতংকে এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, আহত খোরশেদ বাবুলের হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
No comments:
Post a Comment